প্রদীপ কুমার সিংহ :- কিছুদিন আগে পশ্চিমবাংলা বিভিন্ন জায়গা আধার কার্ড বাতিল হওয়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেছিল। ওই প্রতিবাদ করার ফলে বেশ কিছু বাতিল হওয়া আধার কার্ড পুনরায় সংশোধন হয়। কিন্তু অনেক আধার কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়ায় আধার কার্ডের ব্যক্তিরা চিন্তা করছে হয়ে পড়ে। এমনই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থানার এলাকায়।
প্রসঙ্গত দেবাশীষ ওরফে গোপাল সেনগুপ্ত। মামা দিলীপ দে। সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুরের বাসিন্দা। বছর সাতেক এখানে বসবাস করছেন। মামা দিলীপের কাছে প্রায়ই আসতেন। সম্প্রতি তার আঁধার কার্ড বাতিল হয়ে যায়। তাই নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল সে। এ নিয়ে প্রায়ই আলোচনা করত। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা মামার বাড়িতে আসে দেবাশীষ। আলোচনাও করে আঁধারকার্ড বাতিল নিয়ে। মামা বুধবার সকালে কাজে বেরিয়ে যান তিনি প্রাইভেটে চাকরি করতেন। তিবি একাই বাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। বারবার ডাকাডাকি করেও আওয়াজ পাওয়া যায়নি। তারপর বাড়ির পেছনের জানলা দিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ঝুলন্ত দেহ। ফ্যানের সাথে ঝুলছে। বিষয়টি সোনারপুর থানাকে জানানো হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আজ দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সোনারপুর থানা পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।