রাজ্যের শাসক দল তৃনমূলের সর্বময় নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর অম্লমধুর সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত ।এবার তাঁকে ৩৯ সদস্যের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে জায়গা দেওয়ায় কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো,আর সেই প্রশ্ন হল তাহলে কি অধীরকে আর প্রদেশ সভাপতি পদে রাখা হবে না?
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়।নিজের দলের সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দল গুলিকে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালি রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস।সেই লড়াইতে কংগ্রেসের অন্যতম সঙ্গী এই রাজ্যের শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস।
নদী-পুকুরের উদাহরন টেনে অধীর চৌধুরী দলীয় কর্মীদের বোঝালেও মাঝে মধ্যেই তাঁর কিছু মন্তব্য তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃনমূলের উষ্মার কারন হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আর কোন ভাবে দুরত্ব বাড়ুক চায়না কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব।তাই অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ সভাপতির দ্বায়িত্ব থেকে সরানোর আগে তাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যায়গা করে দিলেন রাহুল-সোনিয়ারা।ফলে শ্যাম আর কুল দুটোই রক্ষা করা গেল !
এই জল্পনা আরো বেড়েছে কারন লোকসভা নির্বাচনকে পাখীর চোখ করেছে কংগ্রেস।তাই দলের অনেক বিদ্রোহী নেতাদেরকেও স্থান দেওয়া হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটিতে।
তাদের মধ্যে অন্যতম মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে লড়া শশী থারুর। জায়গা পেয়েছেন জি-২৩ গ্রুপের সদস্য আনন্দ শর্মাও।রাজস্থানে অশোক গেহলটের বিরোধী হিসাবে পরিচিত শচীন পাইলটকেও নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে।
ফলে জল্পনা সত্যি করে রাহুল-সোনিয়া গান্ধীরা অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরায় কিনা সেটার দেখার