সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বেড়েছে,তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মান্দারমনিতে চারটি হোটেলের নির্মান ভাঙ্গার অভি্যোগ উঠলো।যদিও প্রশাসন এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছে
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙল প্রশাসন। মন্দারমণির পার্শ্ববর্তী রামনগর-২ ব্লকের কালিন্দী অঞ্চলের দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর, অরকবনিয়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভের গা ঘেঁষে সরকারি অনুদানে একাধিক হোম স্টে গড়ে উঠেছে।
মন্দারমণির সৈকতের ধারের এই নির্মাণ ভাঙা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। বড় হোটেল বা নির্মাণ না ভেঙে সরকারি অনুদানে তৈরি হোম স্টে-র উপরে কেন প্রশাসনের ‘কোপ’ পড়ল, সেই প্রশ্ন উঠেছে পর্যটন শহরে
প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি জায়গা দখল করে ওই চারটি নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। এটা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। হাই কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ওই চারটি নির্মাণ আংশিকভাবে ভাঙা হচ্ছে।যে চারটি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে দুটি হোমস্টে এবং দুটি ছোট মাপের লজ রয়েছে।
নির্মান ভাঙ্গতে গিয়ে হোটেলের মালিক এবং এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ, রামনগর-২ এর বিডিও এবং পুলিশকে ।তবে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে প্রশাসন
স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিত শঙ্কর দাস বলেন, সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকায় বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল।
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুজন কুমার দত্ত বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতের নির্দেশেই বেআইনি নির্মাণগুলি আংশিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।