কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার ছায়া এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ঘটলো।বাবা মারা যাওয়ার পরেও ঘর বন্ধ রেখে মৃত বাবার পাশে শুয়ে থাকলো তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকায় থাকতেন ভোলানাথ দে ( ৮০ বছর) বৃদ্ধ।কৃষি দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী ভোলানাথ দে তার স্ত্রী ও মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে মান্তু দেকে নিয়ে থাকতেন। ছোটো মেয়ের বিয়ে হয়েছে আরামবাগে।দিদির অত্যাচার থেকে বাঁচাতে মা কে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো ছোট মেয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে গত মঙ্গলবার ভোলানাথ বাবুর মৃত্যু হয়।এরপর থেকে তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ রাখায় বাড়িতে আসা কাজের মহিলা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। প্রতিদিন বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে ও চিৎকার করে ডাকার পরেও ভেতর থেকে দরজা খোলেনি ওই মহিলা। এরপর প্রতিবেশীরা খবর দেয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে এবং খবর দেওয়া হয় তমলুক থানায়।
বুধবার সকালে তমলুক থানার পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় ওই মহিলা তার বাবাকে ধরে শুয়ে থাকে। দীর্ঘদিন না খাওয়ার ফলে ওই বয়স্ক বৃদ্ধ মারা যায় এবং ওই মহিলা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
তমলুক থানার পুলিশ উদ্ধার করে মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য এবং তাঁর মেয়ে কে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার খবর দেওয়া হয় মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে।