Select Language

[gtranslate]
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের পরিকল্পনা মত পাতা জালে আটকে পড়ে কাঁথির শিশু অপহরনকারী ।

দাবি মত মুক্তিপনের ৭০ লক্ষ টাকা পাওয়ার লোভই কাল হল অপহরনকারীর।শেষ অবধি পুলিসের পাতা জালে ধরা পড়ে অপহরণকারী সঞ্জিত শীট ওরফে অভি।

কাঁথি শহরের মেচাদা বাইপাস এলাকায় স্টেশনারি দোকান রয়েছে শম্ভুরাম শীটের। এই ব্যাবসায়ীর ন’বছরের শিশু শুভ্রজিৎ শীটকে অপহরণ করেছিল ধৃত সঞ্জিত।গত ১২জুলাই অপহরণের পর ১৯তারিখ ওড়িশার গঞ্জাম থেকে শুভ্রজিৎকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে কাঁথি থানার পুলিস।বুধবার কাঁথির অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) মানব সিংলা ও মহকুমা পুলিস আধিকারিক সোমনাথ সাহা এক সাংবাদিক বৈঠকে করেন। উপস্থিত ছিলেন আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস ও মামলার তদন্তকারী অফিসার শান্তনু কোলে।সেখানেই সাংবাদিকদের কাছে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ আধিকারীকেরা।প্রসঙ্গত সঞ্জিতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায়।

অপহরণের প্রায় দু’সপ্তাহ আগে দোকানে আসা-যাওয়া শুরু করে এবং শম্ভুরামবাবুর সঙ্গে আলাপ জমায় সঞ্জিত। নিজেদের দোকানে মাঝেমধ্যেই আসত শুভ্রজিৎ। এদিকে আলাপ-পরিচয় করে শিশুটিকে অপহরণের ‘টার্গেট’ করে সঞ্জিত। ১২তারিখ দুপুরে নিজেদের বাড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে একঘণ্টার জন্য শুভ্রজিৎকে ঘুরিয়ে আনবে বলে নিয়ে যায় সঞ্জিত। সরল বিশ্বাসেই ছেলেকে তার সঙ্গে ছেড়ে দেন শম্ভুরামবাবু। ছেলে অনেকক্ষণ ফিরছে না দেখে শম্ভুরামবাবু ফোন করলে সঞ্জিত বলে, শুভ্রজিৎকে কিছুক্ষণ পরই নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এভাবে অনেকটাই সময় কেটে যায়। বিকেল ৪টা নাগাদ সঞ্জিতের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ছেলের কোনও হদিশ না পেয়ে উদ্বিগ্ন শম্ভুরামবাবু ও স্ত্রী শেফালিদেবী পুলিসের দ্বারস্থ হন। এদিকে শুভ্রজিৎকে নিয়ে সঞ্জিত বাসে-ট্রেনে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ায়। এদিকে পুলিস মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করতে শুরু করে। এরই মধ্যে ১৭জুলাই শিশুটির মা শেফালিদেবীকে আলাদা নম্বর থেকে ফোন করে সঞ্জিত বলে, ছেলেকে ফিরে পেতে হলে ৭০লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। না দিলে তাকে মেরে ফেলব।


তারপরেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশান ধরে ফাঁদ পাতে পুলিশ।আরপর ১৯তারিখ অভিযুক্তকে উড়িষ্যার গঞ্জাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read