প্রদীপ কুমার সিংহ
নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে ২০ বছরের কারাদন্ড দিলো আদালত। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ধর্ষিতার সম্পর্কে সৎ বাবা। এই নরাধমের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলো নিগৃহিতার মা ।
গত বছর ১০ মে বারুইপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবা বিপ্লব মিস্ত্রি কে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানা পুলিশ।
এই মামলার সরকারি উকিল অতসী সাহা হালদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় গত বছর ১০ মে এক নাবালিকার কে তার সৎ বাবা দুপুর বেলা ধর্ষণ করে ।তা দেখে মেয়েটির মা তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে দুমাস ধরে এই কাজ করত তার সৎ বাবা। এবং হুমকি দিত কাউকে বললে জানে মেরে দেবো। সেই ভয়তে নাবালিকার মাকে কিছু বলতে সাহস পেত না।
সেদিন দুপুরবেলা তার মা বাড়িতে এসে দেখে মেয়ের উপর তার বাবা পাশবিক অত্যাচার করছে। সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকার মা বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবা বিপ্লব মিস্ত্রিকে বারুইপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ বিপ্লব মিস্ত্রির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৭৬, ৩৭৬ এ ও পকসো ৬ সহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করে। এতদিন ধরে বিপ্লব মিস্ত্রিকে বারুইপুর সংশোধনাগার রেখেই বারুইপুর কোর্টে বিচার হতো। মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতের অ্যাডিশনাল সেশন জাজ সন্দীপ কুমার মান্না দোষী সাব্যস্ত করে বিপ্লব মিস্ত্রিকে।
বুধবার তার রায়ে বিচারক এই নরাধমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন,টাকা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। সেই সঙ্গে নাবালিকাকে হুমকি দেওয়ার জন্য এক বছরের সঅশ্রম কারাদন্ড ও ১০০০ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক সন্দীপ কুমার মান্না ।