স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম আবির্ভাব দিবসে হলদিয়ার রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের উদ্যোগে সকাল থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের আইএমএর সামনে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। দুপুরে বাসুদেবপুরে কুমার চন্দ্র জানা প্রেক্ষাগৃহে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ, চিন্তা ও ভাবধারা বর্তমান প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র গঠনে ও শিক্ষার প্রসারে, উন্নত সমাজ গঠনে, দেশ ও জাতির বিকাশে কিভাবে প্রভাব বিস্তার করবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট গোলপার্ক, কলকাতার স্বামী শ্রীমৎ বেদনিষ্ঠানন্দজী মহারাজ, মহিষাদল ভারত সেবাশ্রম সংঘের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রহ্মচারী গৌতমানন্দ জি মহারাজ এবং রামকৃষ্ণ মিশন ছাত্রাবাস মেদিনীপুর শাখার মুখ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বামী শ্রী জ্ঞানীবরা নন্দজী মহারাজ।
এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাব তিথি এবং জাতীয় যুব উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও স্বামীজি- মহারাজদের উপস্থিতিতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে এড ফার্মা ও কলকাতার টিসিজি ফাউন্ডেশন এর সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্পে “শৈশবে গাছ লাগাও” ” সারা জীবন ফল খাও” এবং মৌমাছি পালন – এই দুটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য হলদিয়ার প্রেসক্লাব টাইমস পত্রিকার সম্পাদক – সাংবাদিক সত্যেন্দ্রনাথ নায়ক এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের সংবাদদাতা মণিকা দাসকে সম্বর্ধিত করা হয়।
এই উপলক্ষে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও আদর্শের উপরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয়েছিল।
সবশেষে রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, ‘শিব জ্ঞানেই জীব সেবা করতে হবে এবং স্বামীজীর দেখানো পথেই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়ন সাধন করতে হবে। তবেই তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হবে।’

