পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার রামনগর ২ ব্লকের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী কাদুয়া অঞ্চল সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে একাধিক দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হল। ডেপুটেশনে যে সমস্ত দাবির উল্লেখ করা হয়েছিল তা হল বাংলা আবাস প্লাস যোজনার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রদান করা, যে সমস্ত গরিব মানুষের কাঁচা ও ভাঙা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদের তালিকাভুক্ত করা, জল জীবন মিশন এর পাইপের কাজ করতে গিয়ে রাস্তা খনন ও ঢালাই রাস্তার খনন মেরামত করার দাবি, নথিভূক্ত ষটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বার্ধক্য ভাতা যারা পাচ্ছেন না অবিলম্বে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা, সরকারি জায়গায় থাকা গাছের চোরা চালান বন্ধ করা, বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা ঢালাই রাস্তার কাজ সত্বর ব্যবস্থা করা সহ একাধিক দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হল।
এই ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন কাদুয়া অঞ্চল সমন্বয় কমিটি সিপিআই এম এর যুগ্ম কনভেনার অখিল দাস ও অমিত দাস অধিকারী সহ সিপিআইএম সমর্থিত প্রায় ৫০ জন সমর্থক। ডেপুটেশন দেওয়ার পূর্বে মাইতি হাট থেকে মিছিল করে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে পৌঁছে মাইকিং এর সাহায্যে বিভিন্ন দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। উপস্থিত হয়ে কাদোয়া অঞ্চল সমন্বয় কমিটি সিপিআইএম এর কনভেনার অখিল দাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন আমরা মূলত চৌদ্দ দফা দাবিতে ডেপুটেশন দিয়েছি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আবাস যোজনা প্লাসের যিনি হকদার অবিলম্বে তাকে নথিভুক্ত করতে হবে।
উপস্থিত হয়ে কাদোয়া অঞ্চল সমন্বয় কমিটি সিপিআইএম এর কনভেনার অমিত দাস অধিকারী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।কাদুয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বর্তমান অঞ্চল নেতৃত্ব করুনাশিস মাইতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন ডেপুটেশন দিল সিপিএম, আর প্রধান বিজেপির। ডেপুটেশনের নাম করে নিজেদের মধ্যে ভাই ভাই সম্পর্ক হল। ওরা যে সমস্ত দাবি করছে আমাদের মমতা ব্যানার্জির সরকার আগে থেকেই ওই সমস্ত দাবী করে ফেলেছে।যদিও এ বিষয়ে কাদুয়া চার নম্বর অঞ্চল প্রধান রথীকান্ত দাস মহাশয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি কোন ভাবে মুখ খুলতে চান নি।

