চলতি রাজ্য বাজেটে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে প্রথম দফার কাজের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে এই জয়। এজন্য সংগ্রামী জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি বিকেলে কলেজ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে। ইতিমধ্যে ঘাটাল শহর জুড়ে পোস্টারিং হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি জানান,আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ওই সংক্রান্ত আমাদের কয়েকটি প্রস্তাব আজ খোলা চিঠির মাধ্যমে ই.মেইল মারফত পাঠিয়েছি। ওই চিঠির কপি সেচমন্ত্রী সহ ডিস্ট্রিক লেভেল মনিটরিং কমিটির সদস্যদেরকেও পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ ঘাটালের অন্নপূর্না আর্কেডে কমিটির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মধুসূদন মান্না,গৌরীশংকর বাগ,সভাপতি ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরা,কার্যকরী সভাপতি সত্যসাধন চক্রবর্তী,যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি প্রমুখ।
সংগ্রাম কমিটি মনে করে,লাগাতর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার স্কীমটি রূপায়ন করতে চলেছে। সেজন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সর্বস্তরের আন্দোলনকারী জনসাধারণকে ওই অভিনন্দন মিছিলের মধ্য দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
নারায়ণবাবু জানান,আজকের মিছিলে ২০১৭ সালে কলেজ বাসস্ট্যান্ডের যে স্থানে তৎকালীন বিধায়কের গুন্ডাবাহিনীর লোকজনেরা বানভাসি জনসাধারণকে আক্রমণ করেছিল এবং সেই লাঠিচার্জে রক্তাক্ত হয়েছিলেন অশ্বিনী মালিক। মিছিলের শুরুতে তাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে আজ অভিনন্দিত করা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কমিটির উপদেষ্টা মধুসূদন মান্না,সভাপতি ডাঃ বিকাশ চন্দ্র হাজরা,কার্যকরী সভাপতি সত্যসাধন চক্রবর্তী,যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি,অফিস সম্পাদক কানাই লাল পাখিরা প্রমুখ।
নারায়নবাবু বলেন,আমরা চাই-দ্রুত রাজ্য সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মাস্টার প্ল্যানের এই কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প রূপায়ণ করুক। এবং এজন্য জেলা-মহকুমা-ব্লক লেবেলে আমাদের কমিটির প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে তদারকি কমিটি গঠন করা হোক।
